অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভসঞ্চার ! কেন বেড়ে যাচ্ছে করোনা আবহে, কী উঠে আসছে সমীক্ষা থেকে ?

 

অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভসঞ্চার ! কেন বেড়ে যাচ্ছে করোনা আবহে,  কী উঠে আসছে সমীক্ষা থেকে ?

অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভসঞ্চার ! কেন বেড়ে যাচ্ছে করোনা আবহে,  কী উঠে আসছে সমীক্ষা থেকে ?

মানুষ সমাজবদ্ধ জীব, সেই অদিকালথেকেই মানুষ গেষ্টিবদ্ধ বা দলোবদ্ধ হয়ে বেঁচে থাকতে শিখেছে। তার সঙ্গে সামাজিক রীতি-নিতি এবং বিভিন্ন সংস্কৃতিকে আঁকড়ে ধরে বেঁচে আছে। সেই আনন্দ -উৎসব এবং সামাজিকতা থেকেই বেঁচে থাকার রসদ সংগ্রহ করে যুগ যুগ ধরে এই মনুষ্য জাতি টিকে আছে। বর্তমানে আমরা করোনা আবহে দাঁড়িয়ে আছি, এই পরিস্থতিতে আমরা আনন্দ-উৎসব করবো কি করবো না, সামাজিকতা মানবো কি মানবো না সবই এখন ঠিক কবে দেবে অইন-আদালত ! সাধারণ মানুষদের নিয়ে এক সমীক্ষা করেছে রাষ্ট্রপুঞ্জ। যেটা হলো, আনন্দ ও সামাজিকতার সব উৎস বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফল কীভাবে পড়তে পারে সমাজ ও ব্যক্তিজীবনে। তাতে উঠে এসেছে নানা তথ্য। তার মধ্যে একটি হল গর্ভসঞ্চার সংক্রান্ত।

সেই সমীক্ষা বলছে, করোনা-পর্বে অবাঞ্ছিত মাতৃত্বের হার অসম্ভব বাড়বে। মার্চ থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে জন্ম নেবে ১১ কোটি ৬০ লক্ষ শিশু। যার মধ্যে শুধু ভারতেই জন্মাবে দু-কোটির মতো। চিনে ১ কোটি ৩৫ লক্ষ, নাইজিরিয়ায় ৬৪ লক্ষ, পাকিস্তানে ৫০ লক্ষ আর ইন্দোনেশিয়ায় ৪০ লক্ষ। আমেরিকাও ব্যতিক্রম নয়। সেখানে জন্মাবে ৩৩ লক্ষ শিশু।

 

আবার জার্নাল অব সাইকোসোম্যাটিক অবস্টেট্রিকস অ্যান্ড গায়নোকলজি’  পত্রিকার গবেষণাপপত্রে ভিন্ন মত প্রশন করা হয়েছে। ইতালি-সহ ইউরোপের কয়েকটি দেশে ১,৪৮২ জন নারী-পুরুষের উপরে সমীক্ষা চালিয়ে বিজ্ঞানীরা দেখেন, আর্থিক ও সামাজিক এই টালমাটালের সময় প্রায় ৮০ শতাংশ দম্পতি চাইছেন না এই মুহূর্তে সন্তান হোক।

আরও পড়ুন: বাড়তি সাবধানতা কেন প্রয়োজন শ্বাসকষ্ট জনিত রোগিদের জন্য?

তাহলে ব্যাপারটা কি দাঁড়ালো ? ইউরোপের মানুষজন সন্তানধারনের বিপক্ষে অর বাকি সব দেশের মানুষ সন্তানধারনের পক্ষে মত দিচ্ছে ? ব্যাপারটি কিন্তু ঠিক সেই রকম নয়। বর্তমানে করোনা আবহে বেশিরভাগ মানুষই সন্তানধারনের বিপক্ষে। সেইজন্য যে হারে গর্ভসঞ্চার হচ্ছে, গর্ভপাতের আবেদনও আসছে প্রায় সেই হারেই। যা থেকে বোঝা যাচ্ছে, অধিকাংশ গর্ভসঞ্চারই অনাকাঙ্ক্ষিত।

তাহলে প্রশ্ন আসতেই পারে, কেন এত গর্ভসঞ্চার ?

এই অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভসঞ্চারের কারণ অনেক।

·        লকডাউনের অবসরে বেশি ঘন ঘন কাছাকাছি এসেছেন অনেক দম্পতিই।

·        তার মধ্যে আবার ওষুধের দোকান খোলা না-থাকায়

·        বাইরে বেরনো যায়নি বলে গর্ভনিরোধক কিনতে পারেননি অনেকেই।

·        অনলাইনেও পাওয়া যায়নি গর্ভনিরোধক।

·    কেউ কেউ আবার দুশ্চিন্তার হাত থেকে মুক্তি পেতেও শারীরিক সম্পর্কের মধ্যে আশ্রয় খুঁজেছেন।

ফলে অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভসঞ্চারের অনেক বেড়ে গেছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞ এবং চিকিৎসক মহল।

আরও পড়ুন: পূজো কিম্বা দৈনন্দিন প্রয়োজনে  নিজেকে মহোময়ি করে তুলতে  রূপ চর্চার ঘরোয়া টিপস্

এই করোনা পরিস্থতিতে অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভসঞ্চার রোধের জন্য বিহর সরকারকে বিশেষ উদ্যোগ নিতে গেখা গেছে, যে সমস্থ করোনা আক্রান্ত পরিযায়ী শ্রমিক কোয়েরান্টিনে ছিলেন, তাঁদের এই পর্ব শেষ হওয়ার পর দেওয়া হয়েছে কন্ডোমের প্যাকেট। সত্যই যেটা সাধুবাদ যোগ্য।

তাহলে এই আবহে কী করনীয়

এই পরিস্থিতিতে আমাদের সমস্থ কর্মই বিচার বুদ্ধি এবং সচেতনাতার সঙ্গে করতে হবে, যেটা সমাজ এবং মনুষ্যকুলকে আনন্দ ও সামাজিকতা বজায় রাখার রসদ জুগিয়ে যাবে। সরকারি বিধিনিষেধ, আইন-কানুন মেনে যারা গর্ভপাত করিয়ে নিয়েছেন, তাঁদোর কোন সমস্যা থাকার কথা নেই। কিন্তু যারা গর্ভপাত করান নি, তাঁদের প্রতি মূহুর্তে সদা সতর্ক থাকতে হবে। বিশেষ করে তাঁদের হোম কোয়েরান্টিনে থাকতে হবে, মাস্ক ব্যবহার করতে হবে এবং বারে বারে সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে বা স্যানেটাইজ করে নিতে হবে। এই অবস্থায় সন্তানের জন্ম দেওয়া যথেষ্ট ঝুঁকির ব্যাপার। তার উপর আছে আর্থিক মন্দা। কত জনের চাকরি যাবে, ব্যবসা বন্ধ হবে, তার ঠিক নেই। এই অবস্থায় সংসারে অতিরিক্ত চাপ থাকা সর্তও চিকিৎসকের পরামর্শ মতো প্রতি মূহুর্তে চলতে হবে।

 Advertisement


Powered By  ADSENCE

 (জরুরি ঘোষণা: কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের জন্য কয়েকটি বিশেষ হেল্পলাইন চালু করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এই হেল্পলাইন নম্বরগুলিতে ফোন করলে অ্যাম্বুল্যান্স বা টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত পরিষেবা নিয়ে সহায়তা মিলবে। পাশাপাশি থাকছে একটি সার্বিক হেল্পলাইন নম্বরও।

সার্বিক হেল্পলাইন নম্বর: ১৮০০ ৩১৩ ৪৪৪ ২২২
টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-২৩৫৭৬০০১
কোভিড-১৯ আক্রান্তদের অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-৪০৯০২৯২৯)

Post a Comment

0 Comments

Translate

close